মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এখন থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত ক্ষমতা যুক্ত করে ২০১০ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালী বিধিমালায় বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন।
গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। তারপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের তিনটি সংশোধন আনা হয়। আর ট্রাইব্যুনালের কার্যবিধির সংশোধন আনার এটিই প্রথম উদ্যোগ।
আগে ট্রাইব্যুনালের কার্যবিধি অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনাল কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাস্তবায়ন করতে পারেন। সংশোধন করে পরোয়ানা কার্যকরের ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাদের দেয়া হলো।
আগের কার্যবিধি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করতে হয় পুলিশকে। এখানে পরিবর্তন এনে বলা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বা তদন্ত কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনাল বা যেকোনো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আসামিকে হাজির করবেন।
জুলাই আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় রয়েছে। একটির কাজ পুরোদমে চললেও অন্যটি শুরুর অপেক্ষায়। ট্রাইব্যুনালে ২৫ মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৫০ জন। গ্রেপ্তার ৬০ জনের মত।
খুলনা গেজেট/এমএনএস